ব্রেকিং নিউজ :
লালমনিরহাটে মাদকবিরোধী কর্মশালা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস মাদারীপুরে মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ নিহত ২ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধানের ফসল কর্তন উৎসব বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হাইকোর্টের পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়সমুহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানালেন গণপূর্ত মন্ত্রী বরেণ্য ব্যক্তিদের জন্মভিটা সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় করা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগ ও দক্ষকর্মী নেওয়ার প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার আর অস্ত্র নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৪-১৪
  • ৪৫৬৫৪৬৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যার যার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ধর্ম নির্বিঘেœ পালন করার স্বাধীনতা দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছেন।
আমার ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আমার জন্য গৌরবের এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সকল সম্প্রদায়ের ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের বিষয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 
শনিবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা কেন্দ্রীয় মারমা উন্নয়ন সংসদের উদ্যোগে রামগড় মাস্টার পাড়া স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য সাংগ্রাই র‌্যালি শেষে রামগড় উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যারা নৈরাজ্যকারী, দুষ্কৃতকারী ও সমাজের শান্তি বিনষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এ কথা উল্লেখ করে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আগে একসময় অরাজকতা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চলার কারণে আমরা কেউ স্বাধীনভাবে আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে আনন্দ উল্লাস করতে পারতাম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতাপূর্ণ দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে আজ আমরা আনন্দ উল্লাস ও যথাযোগ্য মর্যাদায় আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো নির্বিঘেœ পালন করতে পারছি।’
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বারণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন প্রত্যেকে প্রত্যেকের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার অধিকার রাখেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা সকল সম্প্রদায়ের উৎসব আনন্দকে ভাগাভাগি করে উপভোগ করছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের মতো মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতা গড়ে উঠেছে। সাংগ্রাই উৎসব সকল ভাষাভাষি ও সকল সংস্কৃতি কৃষ্টির মাঝে ঐক্যের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। 
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারার সাথে উন্নয়নের সমঅংশীদার করছেন। এজন্য পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে মারমা সম্প্রদায়ের নর নারী, শিশু কিশোররা বিভিন্ন সাজে নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য সংগ্রাই র‌্যালি পরিচালনা করে। এসময় প্রতিমন্ত্রী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলী খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
খাগড়াছড়ির মারমা উন্নয়ন সংসদের সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ¤্রাগ্য মারমা। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে গুইমারা রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্নেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিণী মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারব্বারী, রামগড় পৌর মেয়র মো. কামার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat