ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বশেমুরবিপ্রবি’তে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও সরকারের অর্জিত সাফল্য নিয়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত বগুড়ায় বিশ্ব কবি ও বিদ্রোহী কবির জন্মদিনের প্রস্তুতি সভা নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-০৬
  • ২৬৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বাডিজ) গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ, বাডিজ’র মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের ভূমি সংক্রান্ত দীর্ঘ মেয়াদি হয়রানি ও বিপুল অর্থব্যায় রোধ সম্ভব।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী অতিসম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে প্রচলিত পুরনো পদ্ধতিতে জরিপ কাজের দীর্ঘসূত্রিতা নিরসন ও জনগণের হয়রানি কমানোর জন্য ডিজিটাল জরিপ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বাডিজ) বা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) নামে সম্পূর্ন নতুন ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বুধবার (৩ আগস্ট-২০২২) পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ’র (বাডিজ) পাইলটিং’র উদ্বোধন করেন।
আজ শনিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভূমি জরিপ (ভূ-সম্পদ জরিপ/ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) ঠিকভাবে না হলে তা ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে এক দীর্ঘ মেয়াদী সংকট ডেকে আনে। ভূমি জরিপের সময় মাঠ পর্যায়ের অসৎ কর্মকর্তা ও অসাধু ভূমির মালিক, দালাল কিংবা ভূমি দসে্যূর যোগসাজশে ইচ্ছাকৃত অসঠিক জরিপ কিংবা নিছক অসাবধানতাজনিত ত্রুটিপূর্ণ জরিপের কারণে, প্রকৃত মালিক ব্যতিত জমি অন্য ব্যক্তির নামে কিংবা সরকারের নামে চলে গেলে তার নিষ্পত্তিতে মামলা-মোকদ্দমা পর্যন্ত করতে হয়।
ভূমি সংক্রান্ত অনেক মামলা ৫০ থেকে ৬০ বছরেও নিষ্পত্তি হয়না। এ ধরণের মামলা চালাতে গিয়ে অনেক পরিবার কয়েক থেকে প্রজন্মান্তরে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন এবং হচ্ছেন। অনেক সময় মামলার খরচ বাদি-বিবাদী-পক্ষের মাসিক অর্থনৈতিক আয়কে অতিক্রম করে। বিপর্যয়কর মামলা-মোকদ্দমা ব্যযে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। এসব মামলা-মোকদ্দমার অন্যতম সূত্রপাত অসঠিক ভূমি জরিপ। এছাড়া, প্রচলিত ভূমি জরিপের আরেকটি সমস্যা হচ্ছে এর দীর্ঘসূত্রিতা। বিভিন্ন কারণে একেকটি জরিপ শেষ হতে ২০/২৫ বছরের বেশি সময় লেগে যায়।
ভূমির মালিকানা ও অধিগমনে দরিদ্র, ভূমিহীন, প্রান্তিক, মহিলা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কৃষি ভূমি ও জলার রক্ষা ও সংস্কার প্রয়োজন। ভূমি খাত সংস্কারে-খাস জমি এবং চর গরিব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ, শত্রু এবং অর্পিত সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ন্যায্য স্বার্থ নিশ্চিত করা, নারীদের জমি মালিকানার অধিকার নিশ্চিত করা, বঞ্চিত জনগণের সেবা প্রদানের জন্য ভূমি আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্ভুল ও সঠিক জরিপ অত্যাবশ্যক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat