ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বশেমুরবিপ্রবি’তে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও সরকারের অর্জিত সাফল্য নিয়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত বগুড়ায় বিশ্ব কবি ও বিদ্রোহী কবির জন্মদিনের প্রস্তুতি সভা নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৪-০৫
  • ৩৯৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহতের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ রায় দেন।
একইসঙ্গে দুই আসামির যাবজ্জীবন দন্ডও বহাল রেখেছেন আদালত। তারা হলেন, নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর বড়ভাই আব্দুস সালাম।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী।
রায় ঘোষণার সময় ড. তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ, ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ, মেয়ে সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট সেগুফতা আহমেদ, তাদের পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, এডভোকেট শাকিলা রওশন উপস্থিত ছিলেন।
এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। আজকের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে এ ধরণে জঘন্য অপরাধীদের ছাড় নেই।’
ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ সাংবাদিকদের তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ আজ দুইজনের মৃত্যুদন্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন দন্ড বহাল রেখেছেন। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। দ্রুত এ রায় কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো।
অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আপিল শুনানি শুরু হয়।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। যে দু’জনের ফাঁসির দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয় তারা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালাম। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।
অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চার জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ ও দুই জনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।
পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরাও আপিল করেন।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মৃতদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat