ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বশেমুরবিপ্রবি’তে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও সরকারের অর্জিত সাফল্য নিয়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত বগুড়ায় বিশ্ব কবি ও বিদ্রোহী কবির জন্মদিনের প্রস্তুতি সভা নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৪-২০
  • ৪৫৬৫৭১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের ২৩তম অধিবেশনে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ। 
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলমান এই অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব  মো. মশিউর রহমান বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বলে আজ ঢাকায় এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়। 
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৫ হতে ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের ২৩তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছেন। প্রতিনিধি দলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়রাম্যান সুপ্রদীপ চাকমাসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ রয়েছেন।
ঐতিহাসিক ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’ বাস্তবায়ন এবং ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরে মশিউর রহমান  বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান দেশের জনগণের মধ্যে ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থান নির্বিশেষে সমঅধিকার প্রদান করেছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটেছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণকে এদেশের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি আরও বলেন,  একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর ধারাগুলি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মোট ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৬৫টি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে; ৩টি আংশিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ৪টি ধারা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ডিজিটাল ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনার উদ্যোগসহ এ অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপ সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, সরকার আইন প্রণয়ন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য রক্ষা ও প্রচারের জন্য বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে। পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মধ্যে তাদের নিজ নিজ ভাষায় বিনামূল্যে পাঠ্য পুস্তক নিয়মিতভাবে বিতরণ করা হচ্ছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরি এবং সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ হারে কোটা সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে জাতীয় সংসদে চারজন এবং মন্ত্রিসভায় একজন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্য রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat