• প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৯
  • ৬৬২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিকাল সাড়ে চারটায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক হবে। দুপুরে কাদেরের মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মো. ওয়ালিদ গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। ওয়ালিদ জানান, এই বৈঠকে আন্দোলনকারীদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন জোট ১৪ দলও। বিকাল চারটায় সচিবালয়ে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ১৪ দলের সমন্বয়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এরপর বিকাল পাঁচটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবন পরিদর্শন করবেন। গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে এই বাসভবনে ব্যাপক হামলা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোটা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পারিবারের জন্য ৩০ শতাংশ। এর বাইরে ১০ শতাংশ নারী কোটা, পশ্চাদপদ জেলার জন্য ১০ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং এক শতাংশ কোটা আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য। বাংলাদেশে নানা সময় কোটা সংস্কারের দাবিতে সরকারের শেষ বছরে আন্দোলন হয়েছে। শুরুর দিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি সামনে নিয়ে এসেছিল আন্দোলনকারীরা। তবে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার পর চলতি বছর এই দাবিটির বদলে কোটা সংস্কারের দাবি তুলছে আন্দোলনকারীরা। আর তারা কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসার কথা বলছে। এতদিন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকলেও ৭ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগ এলাকা পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের তুলে দিতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর রাতভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাতেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন। দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোনো পদ খালি রাখা হবে না। সে ক্ষেত্রে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোটার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে। এটি চালু থাকবে। গত ২১ মার্চ চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান জানিয়ে দেয়ার পরও অবশ্য বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি থেকে সরে আসতে নারাজ। তারা তাদের দাবির বিষয়ে সরকার প্রধানের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat