ব্রেকিং নিউজ :
জাতির পিতার সমাধিতে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন জাতির পিতার সমাধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন তাপপ্রবাহে টুঙ্গিপাড়ায় প্রশান্তির নীড় ‘কৃষক সেড’ দিনাজপুরে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা এসটিপি ছাড়া নতুন বিল্ডিং করার অনুমোদন নয় : গণপূর্ত মন্ত্রী ঢাকা-ব্যাংকক রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেরেবাংলার অসীম মমত্ববোধ, কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে : শেখ হাসিনা মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৫-১১
  • ২৯৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ভূমিক্ষয় ও মরুকরণ প্রতিরোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।  
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে জাতীয় পরিবেশ নীতি সংশোধন করা হয়েছে এবং  মরুকরণ, ভূমি অবক্ষয় ও খরা মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাকশন প্রোগ্রাম ২০১৫-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।  
মন্ত্রী আরো বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং কপ-১৩’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমির অবক্ষয় নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য স্বেচ্ছায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন মঙ্গলবার রাতে আইভরি কোস্টের রাজধানী আবিদজানে অনুষ্ঠানরত জাতিসংঘ মরুকরণ প্রতিরোধ বিষয়ক ১৫তম সম্মেলনের ‘ল্যান্ড রিস্টোরেশন: এ পাথ টু সাসটেইনেবল পোস্ট প্যানডেমিক রিকভারি’ শীর্ষক ২য় রাউন্ড টেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ, উপকূলীয় বনায়ন এবং সামাজিক বনায়ন হচ্ছে বাংলাদেশের সফল ভূমি-ভিত্তিক অভিযোজন কার্যক্রমের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।  
তিনি বলেন, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা, মরুকরণ প্রতিরোধ এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান আছে।  
মন্ত্রী বলেন, দেশে দ্রুত বর্ধনশীল ফসল, শাকসবজি এবং ফলের জন্য টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির সর্বোত্তম চর্চা চালু করা হয়েছে।  টেকসই ভূমি ব্যবস্থা চালু করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বরেন্দ্র অঞ্চলকে সবুজ এলাকায় পরিণত করা হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৬৯ হাজার হেক্টর জমি হারাচ্ছে যা ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।  দেশের এক-তৃতীয়াংশ উপকূল রয়েছে যেখানে জোয়ারের পানির সংস্পর্শে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে আমাদের দেশে এক মিলিয়ন লোকের জোরপূর্বক অভিবাসন আমাদের ভূমি, জীবন, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য,  বন ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য বিরাট হুমকি সৃষ্টি করেছে।  
মন্ত্রী বলেন, মাটি, উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত এবং বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি কোভিড-১৯ এবং ইবোলার মতো অভিনব রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।  
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল মরুকরণের হুমকিতে রয়েছে।  ভূমি পুনরুদ্ধারই সবুজ পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে পারে।
মরুকরণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ইউএনসিসিডি সচিবালয়ের পাশাপাশি গ্লোবাল মেকানিজমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন পরিবেশমন্ত্রী।
এর আগে পরিবেশমন্ত্রী আইভরি কোস্টের রাজধানী আবিদজানে চলমান সম্মেলনের  ‘হাই লেভেল ইন্টারেক্টিভ ডায়লগ অন ফিউচার প্রুফিং ল্যান্ড ইউজ ঃ শিফটিং প্যাটার্নস ইন প্রোডাকশন এন্ড কনজাম্পশন’ শীর্ষক অধিবেশনে যোগদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat