• প্রকাশিত : ২০২২-০৪-২২
  • ৬৩৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ি-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দোকান কর্মচারী মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট আতিকুল ইসলাম মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তার ভাই নুর মোহাম্মদ একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১শ’ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মুরসালিনের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিকা খন্দকার। ঢামেক হাসপাতাল মর্গ সূত্র জানায়, আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মুরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।
মুরসালিন কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি গ্রামের মো. মানিক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুরসালিন দ্বিতীয়। এছাড়া মুরসালিনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রীর নাম মিতু আক্তার।
নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর জানান, মিরপুর রোডের নিউমার্কেটের সামনে মুরসালিন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই নুর মোহাম্মদ জানান, মুরসালিনের মরদেহ কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাটি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত ১৭ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এছাড়াও সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান নাহিদ হাসান নামে আরও একজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat