ব্রেকিং নিউজ :
জাতির পিতার সমাধিতে জাফর ওয়াজেদের শ্রদ্ধা আফগানিস্তানে গুলিতে তিন স্প্যানিশ ও তিন আফগান নিহত সাতক্ষীরার তালায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৪ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে টিআইবি কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরী সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৯
  • ৭৪০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারে এখনও প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী মহাসচিব উরসুলা মুলার। মিয়ানমারের ছয় দিনের সফর শেষে রবিবার গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স। উরসুলা মুলার বলেন, ‘আমি লোকজনের কাছ থেকে ‍যা শুনেছি এবং নিজে যা দেখেছি- তাতে সেখানে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুযোগ নেই, তাদের সুরক্ষা নিয়েও উদ্বেগ আছে, এখনও তারা গৃহহীন হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতি কোনোভাবেই ফেরার উপযোগী নয়।’ মুলারের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে রয়টার্সের পক্ষে থেকে মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। রাখাইনে সেনাঅভিযান শুর হওয়া পর সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যেই মুলার রাখাইনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনের অনুমতি পান। তিনি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মুলার বলেন, ‘আমি (মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের) রাখাইনে নৃশংসতার অবসান ঘটিয়ে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার পর বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের ফেরত আনার আহ্বান জানিয়েছি।’ মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের ফেরার উপযুক্ত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি পরিস্থিতি নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন।’ ‘আমি পুড়িয়ে দেয়া ও বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া গ্রামগুলো দেখেছি। শরণার্থীদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরানোর কোনো ধরনের প্রস্তুতি আমি সেখানে দেখিনি বা শুনিনি।’ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। কয়েক মাসেই এই সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশে আগে থেকে আশ্রয় নিয়ে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। রেহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ হলেও সর্বশেষ ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে মিয়ানমার তার দেশের এই মুসলিম বাসিন্দাদের ফেরত নিতে রাজি হয়। চার মাস আগে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি সম্মতিপত্র সই হলেও এরপর তার অগ্রগতি নেই। ওই সম্মতিপত্রের ভিত্তিতে দুই দেশ গত ১৯ ডিসেম্বর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে। রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য একটি ফর্মও চূড়ান্ত করা হয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম যে ৮ হাজারের তালিকা দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে মাত্র ৫০০ জনের পরিচয় যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat