ব্রেকিং নিউজ :
ঢাকা-ব্যাংকক রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেরেবাংলার অসীম মমত্ববোধ, কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে : শেখ হাসিনা মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ঢাকা ও ব্যাংকক পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর করেছে বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে : ওবায়দুল কাদের দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নাটোরে শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীদের শিক্ষা সফর
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৬-০৮
  • ৪৭৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের রাজনীতিতে মোহাম্মদ নাসিমের শূন্যতা অপূরণীয়। বাবা মনসুর আলীর মতোই সাহসী ও নির্ভীক ছিলেন তিনি। কোনোদিন অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেনি মোহাম্মদ নাসিম, তিনি ছিলেন আপোষহীন নেতা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে প্রয়াত জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতি এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
বক্তরা বলেন, মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগ ও দেশের মানুষের কাছে থেকে চলে গেছেন, তার চলে যাওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শূন্যতা কোনোভাবেই পুষিয়ে ওঠার মতো নয়। এই শূন্যতা অপূরণীয়।
সংগঠনের সহ-সভাপতি তৈমুর ফারুক তুষারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রনির সঞ্চলনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মোহাম্মদ নাসিমের বড় ছেলে ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন ম-ল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের কোষাধক্ষ্য শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি শাহনেওয়াজ দুলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতা এবং নেতৃত্বগুণ আমাদের মুগ্ধ করেছে। বাস্তব জীবনে তিনি ছিলেন কল্যাণমুখী চিন্তার অধিকারী। সবসময় তার এলাকা সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে চিন্তা করতেন। সময়-সুযোগ পেলেই নিজ এলাকায় ছুটে যেতেন। করোনার সময়ও আমাদের নিষেধ উপেক্ষা করে তিনি সিরাজগঞ্জে ছুটে গিয়েছেন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের এই অকাল চলে যাওয়ার ক্ষতি কোনোভাবেই পুষিয়ে ওঠার মতো নয়। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত সহযোগী হারিয়েছেন। আমরা একজন অভিভাবক হারিয়েছি।
এনামূল হক শামীম বলেন, মোহাম্মদ নাসিম তার বাবা মনসুর আলীর মতোই সাহসী ও আওয়ামী লীগের জন্য নির্ভীক সৈনিক ছিলেন। কোনোদিন কারো সঙ্গে আপোষ করেননি, তিনি ছিলেন আপোষহীন নেতা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থাকবে, ততদিন মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেসময় ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বঙ্গবন্ধুর রক্তের উপর পা রেখে অনেক বড় হতে পারতেন। কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথের বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। পিতার মতোই বিশ্বাসঘাতকতা করেননি মোহাম্মদ নাসিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, বঙ্গবন্ধুর রক্ত সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি।
মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বাবার স্মৃতি স্মরণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, বাবা সবসময়ই সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। করোনার মধ্যেও নিষেধ না শুনে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিতে ছুটে গিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, গণমাধ্যম কর্মীরা এবং আমাদের নিয়েই ছিল আমার বাবা মোহাম্মদ নাসিমের পরিবার। কিন্তু তিনি নিজের পরিবার থেকে সব সময় নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের মূল্যায়ন করতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat