ব্রেকিং নিউজ :
লালমনিরহাটে মাদকবিরোধী কর্মশালা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস মাদারীপুরে মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ নিহত ২ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধানের ফসল কর্তন উৎসব বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হাইকোর্টের পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়সমুহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানালেন গণপূর্ত মন্ত্রী বরেণ্য ব্যক্তিদের জন্মভিটা সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় করা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগ ও দক্ষকর্মী নেওয়ার প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার আর অস্ত্র নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১১-০৩
  • ৬৭৬৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি বছরে জেলায় ১৫৬টি জলাশয়ে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা মূল্যের ১০ টন ৩৩ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
এরমধ্যে ৮ টন ৯০০ কেটি রুই জাতীয় মাছের পোনা ও ১ টন ১৩৩ কেজি দেশীয় প্রজাতির শিং মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
এখান থেকে জেলার ৫ উপজেলায় অন্তত ৫০ টন মাছ উৎপাদিত হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭২টি জলাশয়ে ২ টন ৬২ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা, ১৭৪ কেজি দেশীয় প্রজাতির শিং মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে।
মুকসুদপুর উপজেলার ১২টি জলাশয়ে ১ টন ৩২৩ কেজি রুই মাছের পোনা, ১৩৫ কেজি শিং মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলার ২০টি জলাশয়ে ৬৯২ কেজি রুই মাছের পোনা ও ২৫ কেজি শিং মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলার ২৩টি জলাশয়ে ২ টন ২৫০ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা ও ৩০ কেজি শিং মাছের পেনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২৯টি জলাশয়ে ১ টন ৭৪০ কেজি রুই জাতীয় মাছের পেনা ও ১৭৯ কেজি শিং মাছের পেনা ছাড়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে গোপালগঞ্জের জলাশয়গুলোতে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে মাছের পোনা ছাড়া শুরু হয়। শেষ হয়েছে গত ৩০ অক্টোবর। ৫ উপজেলার ১৫৬টি জলাশয়ে মোট ১০ টন ৩৩ কেজি মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। এখান থেকে জলাশয় গুলোতে কমপক্ষে ৫০ টন মাছ অতিরিক্ত উৎপাদিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি এসএম আশিকুর রহমান বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ টিকিয়ে রাখতে ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গোপালগঞ্জ জেলার জলাশয়গুলোতে চলতি বছর প্রায় ৩৬ লাখ টাকা মূল্যের ১০ টন ৩৩ কেজি মাছ ছাড়া হয়েছে। এতে জেলার জলাশয় গুলোতে মাছের উৎপাদন ৫০ টন বৃদ্ধি পাবে। এতে একদিকে যেমন মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি সাধারণ মানুষ জলাশয় থেকে মাছ সংগ্রহ করে অমিষের চাহিদা পুরণ করতে পারবে। মৎস্যজীবীরাও উপকৃত হবেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগান বলেন, সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৭২টি জলাশয়ে ২ টন ২৩৬ কেজি মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ অক্টোবর শহরের মধুমতি লেক ও বৈরাগীর খালে পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন ৭০৬ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা এবং ৬৩ কেজি শিং মাছের পোনা অবমুক্ত করে এ কার্যক্রমের সমাপ্তি টানেন। তারপর লেক ও খালে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ এবং দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে পৌর মেয়র ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান। এছাড়া লেক ও খালে দু’টি অবৈধ জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat