ব্রেকিং নিউজ :
লালমনিরহাটে মাদকবিরোধী কর্মশালা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস মাদারীপুরে মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ নিহত ২ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধানের ফসল কর্তন উৎসব বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হাইকোর্টের পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়সমুহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানালেন গণপূর্ত মন্ত্রী বরেণ্য ব্যক্তিদের জন্মভিটা সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় করা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগ ও দক্ষকর্মী নেওয়ার প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার আর অস্ত্র নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-১৩
  • ২৪৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কুড়িগ্রাম জেলায় এ প্রথম মিঠা পানিতে চাষ হচ্ছে এ্যাকুরিয়ামের বাহারী রঙের মাছ। পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র আর্থিক সহায়তায় আরডিআরএস বাংলাদেশ জেলার রাজারহাট ও সদর উপজেলায় পরীক্ষামুলকভাবে রঙিন মাছ চাষে সাফল্য পাওয়ায় জেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্যোক্তা। সেই সাথে বেকার তরুণদের জন্য সুযোগ হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের।
সরজিমেনে জেলার সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর প্রতাপ গ্রামের  মাছ চা্িষ খলিলুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার ৪শতক জমিতে এক শতক করে ৪টি আলাদা পুকুরে চাষ করছেন ১০ রকমের বাহারী রঙের ডিমওয়ালা মা মাছ। গত ১৪ মে তিনি পুকুরে মা মাছ ছেড়েছিলেন। সব মিলিয়ে এতে তার খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। উত্তোলনকৃত পোনা মাছ বিক্রি করতে পারবেন ৪০হাজার টাকা। ফলে খুশি এ মৎসচাষি।
খলিলুর রহমান জানান, আরডিআরএস’র মাধ্যমে খুলনা ও যশোর থেকে আমাকে ৪শ’ পিস ডিমওয়ালা মা মাছ সরবরাহ করা হয়। এজন্য আমাকে দুই দিনের বাহারী রঙিন মা মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ৪শ’ মা মাছ কিনতে খরচ পরেছে ৮ হাজার ৫শ’ টাকা। ফেন্সিং নেট দিতে ২হাজার টাকা। এছাড়াও ট্রেনিং, সাইনবোর্ড ও এক বস্তা ফিড কিনতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৪হাজার টাকা। আমি ১০ প্রকার মা মাছ ছেড়েছি। এখন পর্যন্ত ৬ প্রকার ডিমওয়ালা মা মাছ প্রায় ২ হাজার রেণু ছেড়েছে। বাকীগুলো থেকেও আশা করছি। এতে আমি প্রথম দফায় ৪০ হাজার টাকার পোনা মাছ বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
আরডিআরএস রাজারহাটের টেকনিক্যাল অফিসার (ফিসারিজ) মোজাম্মেল হক জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় এ প্রথম নতুন কার্যক্রম ও উদ্যোক্তা তৈরীতে বাহারী মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা রাজারহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে বাজারজাতকরণেরও ব্যবস্থা করেছি। দুজন চাষিকে এখন পর্যন্ত ১২ প্রকার মাছ সরবরাহ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-গাপ্পী, মলি, সরটেইল, প্লাটি, গোল্ড ফিস, কৈ-কার্প, কমেট, গোড়ামি, খলিষা, ব্লাকমোড়, টেট্টাবার্গ ও টাইগার বার্গ। তিনমাস পরপর এ ডিমওয়ালা মা মাছগুলো বাচ্চা দিবে ফলে তারা প্রতিনিয়ত মাছগুলো বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, কুড়িগ্রামে নতুন প্রযুক্তিতে বাহারী মাছ চাষের প্রচলন শুরু হয়েছে। এতে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । এ বাহারী মাছ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শোভাবর্ধন করছে। এ মাছ চাষের মাধ্যমে জেলায় নতুন উদ্যোক্তা তৈরীর পাশাপাশি বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat