সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ রেল লাইনের ধারে পৌরশহরের শিবপুর গ্রাম সংলগ্ন কাশবনের ভিতর থেকে ফকির চাঁন (২৫) নামের এক যুবক নিখোঁজের ৭ দিন পর অর্ধ-গলিত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। ২৩ অক্টোবর রোববার লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফকির চাঁন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গাবগাছি গ্রামের হয়রত আলী প্রামাণিকের ছেলে। ফকির চাঁন পেশায় একজন অটোভ্যান চালক ছিলেন।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ৩ টার দিকে সঞ্জিব রাজবংশী নামক একজন ফকির চাঁনকে ফোন করে ভাড়ার কথা বলে উল্লাপাড়া মাছের আড়ৎ এ ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকে ফকির চাঁন নিখোঁজ তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি । পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে দুই দিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে ফকির চানের বড় ভাই শাহ আলম বেলকুচি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলকুচি থানার গরুর হাট নামক স্থান থেকে সঞ্জিব রাজবংশীকে গ্রেফতার করে বেলকুচি থানা পুলিশ। সঞ্জিব রাজবংশী বেলকুচি উপজেলার বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃত সঞ্জিব রাজবংশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী রবিবার সকালে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় উল্লাপাড়া পৌর এলাকার শিবপুর রেল লাইনের ধারে কাশবনের ভিতর থেকে ফকির চাঁনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে।
ঘাতক সঞ্জিব রাজবংশীর দেয়া তথ্য-পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শনিবার ভোর তিনটায় অটোভ্যান চালক ফকির চানকে ফোন করে উল্লাপাড়া মাছের আড়তে মাছ কেনার কথা বলে বেলকুচি থেকে উল্লাপাড়ায় আসেন ফকির চানের ভ্যানে। এভাবে প্রথম দিন হত্যার পরিকল্পনা ব্যার্থ হলে পরের দিন আবার একই ভাবে ফকির চানকে ভাড়া করে নিয়ে আসে এবং সুযোগ বুঝে ফকির চানকে হত্যা করে উল্লাপাড়ায় শিবপুর সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে কাশবনের ভিতর ফেলে রেখে অটো ভ্যান নিয়ে চলে যায়। ঘাতক সঞ্জিব রাজবংশী পরে ওই অটো ভ্যানটি অজ্ঞাত ব্যাক্তির নিকট বিক্রয় করে দেয়।
এ বিষয়ে ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী শিবপুর রেল লাইনের ধারে কাশবনের ভিতর থেকে ফকির চাঁনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছিনতাইকৃত অটোভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে।