ব্রেকিং নিউজ :
জাতির পিতার সমাধিতে জাফর ওয়াজেদের শ্রদ্ধা আফগানিস্তানে গুলিতে তিন স্প্যানিশ ও তিন আফগান নিহত সাতক্ষীরার তালায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৪ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে টিআইবি কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরী সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৩-২১
  • ৬০০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়ালো।
শনিবার দিবাগত রাতে শাল্লার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনার মুল হোতা ও মামলার প্রধান আসামি শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গ্রেফতার করে। স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। একই রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করে শাল্লা থানা পুলিশ। এরআগে ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পৃথক মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে একটির বাদি শাল্ল¬া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম, অন্য মামলার বাদি হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
মামলা দু’টিতে আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫শ’ জনকে। বকুলের মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৪ থেকে ১৫শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরে শানে রিসালাত সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাতে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়, প্রচন্ড সমালোচনার মুখে ঝুমন দাসকে পরদিন রাতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ আটক করে। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করে এলাকাবাসী। পরদিন (১৭ মার্চ) বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাচনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৮৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat