ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো শুরু হচ্ছে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী: হাছান মাহমুদ বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি বিমানবন্দর এলাকায় বাসের ধাক্কায় এক প্রকৌশলী নিহত সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে কৃষকদের নিয়ে ধান কাটলেন কৃষিমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপ প্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-২০
  • ২৫০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থান এবং জিরো টলারেন্স রয়েছে। কারণ এর রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গতিপথের সময়-সীমা নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যা থেকে পৃথিবীর কোনও দেশই মুক্ত নয় এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মত বাংলাদেশকেও দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে।’ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় ওআইসি এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা’র (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর দুর্নীতি বিরোধী আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্য প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্মেলন আজ সৌদি আরবের জেদ্দায় শুরু হয়েছে। এসময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী  বিপিএম(বার) উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে আনিসুল হক দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়, ব্যাংকিং ও ননব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নত নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও তদারকি ব্যবস্থা, বিভিন্ন স্তরে জাতীয় দুর্নীতি প্রতিরোধ কাঠামো, উন্নত শাসন ব্যবস্থা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং কমিউনিটি পর্যায়ে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা ইউনিট, সততার দোকান ও সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার জন্য গণশুনানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সকল স্তরে দুর্নীতি প্রতিরোধে ফৌজদারি আইন, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্যের অধিকার নিশ্চিতে তথ্য কমিশন, মানিলন্ডারিং আইন, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম প্রতিরোধসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
ওআইসির সভায় আইন মন্ত্রী বলেন,  ‘আমরা অবৈধ আর্থিক প্রবাহ রোধ করা এবং বাজেয়াপ্ত সম্পদ পুনরুদ্ধার এবং ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি। এ বিষয়ে জাতিসংঘের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কভেনশন (ইউএনসিএসি) এর সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে কিছু কিছু দেশের বিভিন্ন ধরনের অসহযোগিতায় তিনি তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 
আইনমন্ত্রী দুর্নীতি নেটওয়ার্কের অপতৎপরতা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী কাঠামোর মূল দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করেন এবং তা মোকাবিলায় যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা, কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল ও উন্নত প্রশিক্ষণ কার্যকরী ভুমিকা রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
সভায় সভাপতিত্ব করেন, সৌদি আরবের দুর্নীতি বিরোধী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাজিন ইব্রাহিম আলকাহমুস। এই সভায় ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, জাতিসংঘের ড্রাগস এন্ড ক্রাইম অফিসের নির্বাহী পরিচালক, ইন্টারপোলের মহাসচিব সহ ওআইসি সদস্য রাষ্ট্র সমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে ওআইসি দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন গৃহীত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat