জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় “দুর্নীতির বিরুদ্ধে একসাথে”। এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও মহানগর দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ একসময় দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পরবর্তীতে সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা এ অবস্থান থেকে সরে এসেছি। অর্থাৎ আমাদের স্ট্যাটাস অবশ্যই ভাল হয়েছে।
তিনি বিআরটিএ নিয়ে বলেন, সেখানে যে লাইসেন্স সিস্টেম রয়েছে সেটা যেন প্রপারভাবে হয় ও পরীক্ষার সিস্টেমটি যাতে সঠিক ভাবে ম্ল্যূায়ন করা হয়।
আগে যে সমস্যাটি ছিলো লাইসেন্স বা পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে সেটি এখন অনেকাংশে কমে এসেছে। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করে বলেছেন, যে সকল কর্মচারী বা কর্মকর্তা সরাসরি টাকা পয়সাসহ হাতেনাতে ধৃত হয়েছে এরকম লোকদের যতদ্রুত সম্ভব চার্জশীট দাখিল করে বিচারের ব্যবস্থাটা খুব দ্রুত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, আগে নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে তারপর অন্যকে দুর্নীতিমুক্ত হওয়ার জন্য উপদেশ দিতে হবে। যদি দুর্নীতিমুক্ত করার প্রক্রিয়া একটি দৌড় প্রতিযোগীতা হয় তাহলে সেখানে কিন্তু সবাইকে অংশ গ্রহণ করতে হবে। সেখানে আমি যদি একা দৌড়ায় বা আপনি একা দৌড়ান তাহলে সেটা কোন প্রতিযোগীতা হবেনা। অতএব আমরা এ দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়াকে একটি প্রতিযোগীতা হিসেবে নিয়ে সেখানে সবাই অংশ গ্রহণ করে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এস. এম শফি উল্লাহ বিপিএম (বার), মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রেস ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।