ব্রেকিং নিউজ :
প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে : আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৯৬ জন ৫৮ হাজার ৬২৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন আমদানিকৃত এক হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে জিটুজি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন তরান্বিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি’তে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে : রাষ্ট্রপতি ডলার খরচ করে বিএনপি প্রতিনিয়ত সরকারবিরোধী কুৎসা ও বদনাম রটাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি : তথ্যমন্ত্রী ছয় দিনের তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
  • আপডেট টাইম : 29/10/2022 08:34 PM
  • 1268 বার পঠিত

হবিগঞ্জ জেলায় এবছর অনুকূল আবহাওয়ায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,মাঠ ভরা ফসল। এরই মাঝে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। কিন্তু সিত্রাং এর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয় তাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বরং বৃষ্টির পানিতে ফসলের উপকার হয়েছে । পোকা মাকড়ের আক্রমণও ছিল কম।ফলে এবার হবিগঞ্জ জেলায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০হাজার ২০০ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ছেয়ে বেশী ৮৮হাজার ২৫৮ হেক্টর। এর মাঝে স্থানীয় জাতের আবাদ হয়েছে ৭০৩ হেক্টর এবং হাইব্রীড আবাদ হয়েছে ১০৭ হেক্টর। অবশিষ্ট সকল জমিতেই আবাদ হয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। এ বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা আমন (জলি আমন) আবাদ করা হলেও বন্যায় সব নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় বির্স্তীণ ফসলের মাঠে সবুজ ধানে সোনালী রং ধারন করেছে। মাঠের ফসল দুলছে বাতাসের তালে তালে। যেদিকে চোঁখ যায় সেদিকেই শুধু সবুজের সমারোহ। কৃষকরা স্বপ্ন নিয়ে ফসলের পরিচর্যা করছে । কিছুদিন পরেই তারা নতুন ফসল ঘরে তুলবে । মেতে উঠবে নবান্নের আনন্দে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের সানাবই গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন ,এ বছর বন্যায় আউশের ক্ষতি হলেও আগাম আমন রোপন করায় ভালো ফসল হয়েছে। এবার জমিতে আগাছা ও পোকা মাকড়ের আক্রমনও কম ছিল। নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় সারও তেমন প্রয়োজন হয়নি। অন্যান্য বছরের ছেয়ে এবার প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশী ফলন হবে বলে আশাবাদী তিনি। অগ্রহায়ন মাসের আগেই তার জমির ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, আমন ধান পোকার আক্রমণে যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয়েও কৃষি অফিস তৎপর রয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরে আলম ছিদ্দিকী জানান, এ বছর নিয়মিত ও পরিমিত বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমনের ভাল ফলন হয়েছে। পোকা মাকড়ের আক্রমনও তেমন হয়নি। বৃষ্টির পানি থাকলে সারও প্রয়োজন হয় কম। বন্যা পরবর্তী ফসল হিসাবে জমির উর্বরতা শক্তিও থাকে বেশী। আবার উপকূলবর্তী জেলা না হওয়ায় সিত্রাংয়ের আঘাতেও তেমন ক্ষতি হয়নি। ফলে এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে এই জেলায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...