প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে হেপাটাইটিস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠানসহ সংশি¬ষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি এ ব্যাধি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং হেপাটাইটিস প্রতিরোধে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘হেপাটাইটিস, আর অপেক্ষা নয়’, অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি ও এই নীতির বাস্তবায়ন করছি। আমরা নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সাড়ে আঠারো হাজার কমিউিনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপে স্বাস্থ্যখাতে যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার উল্লে¬খযোগ্য পর্যায়ে হ্রাস পেয়েছে, বেড়েছে দেশের মানুষের গড় আয়্।ু
তিনি বলেন, হেপাটাইটিস এখনই নির্ণয় করতে পরীক্ষা করতে হবে। বিশ্বে হেপাটাইটিস ভাইরাস বহনকারী প্রতি ১০ জনে ৯ জনই জানে না যে, সে হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। ব্যাপক গণসচেতনতার মাধ্যমে জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে। আমাদের চিকিৎসক সমাজকে আরো বেশি সেবার মনোভাব নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য স্থির করা হয়েয়ে যা বাস্তবসম্মত এবং আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় তা অর্জন সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য সাফল্য কামনা করেন।