• প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৮
  • ৪৪৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ক্রয় করা নিজস্ব জমিতে ১০৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে মডেল আশ্রয়ণ প্রকল্প। ক্রয় করা ভূমিতে এটাই সরকারের প্রথম আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ১০৯টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে।
মিরসরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নে কিছমত জাফরাবাদ এলাকায় ২ দশমিক ৬০ একর জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
আজ সোমবার সকালে পরিদর্শনকালে তিনি জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে বসবাসকারীদের জন্য একটি পুকুরও খনন করা হয়েছে। সুপেয় পানির সুবিধা নিশ্চিত করতে বসানো হবে ৪টি টিউবওয়েল। ঘরপ্রতি নির্মাণ ব্যয় ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এছাড়াও পরবর্তীতে প্রকল্পে মসজিদ, কবরস্থান ও খেলার মাঠও তৈরি করা হবে।
জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ঘর ভূমিহীন এবং গৃহহীনদের দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলায় প্রায় ৬শ’ ঘর ভূমিহীন-গৃহহীনদের মধ্যে হস্তান্তর করবেন। এর মধ্যে মিরসরাইয়ের কিছমত জাফরাবাদ এলাকায় এই ১০৯টি ঘরের বিষয় আমাদের কাছে আলাদা গুরুত্ব রাখছে। কারণ এখানে প্রথমবারের মত ক্রয় করা জমিতেই বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রথম আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ তহবিল থেকে বরাদ্দ পাওয়া সাড়ে ৩ কোটি টাকা দিয়ে ২ দশমিক ৬০ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য। এ জমিতেই ১০৯টি ঘর তৈরি করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১০৯ পরিবার যাতে এখানে থেকে নাগরিক সুবিধা পায়; সেই সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে। আগামী ২১ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ১০৯টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করবেন।’
এই ঘরগুলো হস্তান্তরের পর মিরসরাইয়ে আর ১৫২টি ভূমিহীন পরিবার থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মিরসরাই উপজেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৩৫৬টি। এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৫০টি, ২য় পর্যায়ে ২৫টি এবং ৩য় পর্যায়ের (১ম ধাপে) ২০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই আরও ১০৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে। ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে।’
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটি ঘরে দুইটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর এবং ঘরের সাথে লাগানো একটি টয়লেট থাকছে। ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগও দেয়া হবে। সবার ব্যবহারের জন্য ২০ শতাংশ জায়গায় একটা পুকুর খনন করা হয়েছে। পাশাপাশি সুপেয় পানির জন্য ৪টি টিউবওয়েল স্থাপন করার প্রক্রিয়া চলছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মাদ নাজমুল আহসান, রেবিনিউ ডিপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মং মারমা, জেলা প্রশাসক অফিসের স্টাফ প্লাবন কুমার বিশ্বাস, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা এসএমএন জামিউল হিকমাহ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat