বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলে প্রতিষ্ঠান দ্রুত এগিয়ে যাবে। সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই আমাদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সংস্থার প্রধানদের অবশ্যই রিক্স নিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার মাঝে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বিপিআই-এর মহাপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম, হাইড্রোকার্বন ইউনিট-এর মহাপরিচলাক আবুল খায়ের মো: আমিনুর রহমান, ডিপার্টমেন্ট অব এক্সক্লুসিভ-এর চীপ ইন্সপ্যাক্টর মোহা. নায়েব আলী, জিএসবি’র ডিজি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, বিপিসির সচিব মো.লাল হোসেনসহ সকল দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হাইড্রোকার্বন ইউনিট, বিপিআই, বিএমডি, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, জিএসবি, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি’র প্রধানগণ সিনিয়র সচিব-এর সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
নসরুল হামিদ আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। জ্বালানির গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাঁচ বছর পরে কতটা জ্বালানি তেল লাগবে, কবে কোথায় গ্যাস সরবরাহ করতে হবে তার পরিকল্পনা এখনই গ্রহণ করে তা বাস্তাবায়নে সচেষ্ট থাকা বাঞ্ছনীয়। পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে পাইপলাইন করা বা ভোলার গ্যাস মূল প্রবাহে আনা সময়ের দাবী। বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি করাই হয় নিজেদের গুরুত্বসহকারে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রাখা। এপিএ বাস্তবায়নে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে অবশ্যই প্রথম দিকে থাকতে হবে।
নতুন নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, নতুন/ওয়ার্কওভার কূপ খনন, গ্যাস উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল আমদানি, গ্যাস ও তেল সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, আইন/বিধি/নীতিমালা প্রণয়ন ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এ বিভাগের কার্যক্রমের গতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এপিএতে লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলেই দেশে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করার কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে।