ব্রেকিং নিউজ :
তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী কুল চেইন উন্নয়নের জন্য সমন্বিত নীতির বাস্তবায়ন চান শিল্প উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান পণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪ জনকে চমেকে ভর্তি
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৫-২২
  • ৫২৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন,প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) বা গ্যাস্ট্রিকের মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে ৪৫ শতাংশ গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের মিলনায়তনে ‘ওভারইউজ অব পিপিআই:এ রিভিউ অব ইমারেজিং কনসার্ন’ শীর্ষক সেন্ট্রাল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষ  রাস্তাঘাটে পণ্যের মত ওষুধ কিনে থাকে। অনেকে আবার ফার্মাসিতে গিয়ে দামী ওষুধ কিনে থাকেন। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে আমরা এন্টিাবায়োটিক খেয়ে যে অবস্থায় রয়েছি, তাতে দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে এন্টিাবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে করোনা ভাইরাসের চেয়ে বেশী লোক মারা যাবে। তিনি বলেন,আমরা যদি নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে চলাফেরা করি, তাতে এসিডিটি হবে না। এসিডিটি না হলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি রোগের জন্য ওষুধ খেলে, আরেকটি রোগের সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের অনেকে যখন তখন স্টোরয়েড কিনে খাই। স্টোরয়েড খেয়ে মোটাতাজা হই। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ খারাপ বলেও উল্লেখ করেন উপাচার্য।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্যাস্ট্রোএন্টারলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজিবুল আলম ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শরবিন্দু কান্তি সিনহা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজীবুল  আলম জানান, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের কারণে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার,স্মৃতিভ্রম মতো ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম কমে আসতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে  ব্যবস্থাপনা পত্র ও চিকিৎসকের পরামর্শ  ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনে  শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে।  গ্যাস্ট্রিকের ওষুদের বড় অংশ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ব্যবস্থাপনাপত্র ছাড়া। রোগীর একটু পাতলা পায়খানা, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথাসহ  নানা জটিলতা দেখা দিলে ফার্মেসি দোকানীরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রেই একটু পানি পান করালে বা হালকা কিছু ওষুধ ব্যবহার করলে এই সমস্যা সমাধান করা যেত। তিনি বলেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি করার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। রোগীর প্রয়োজন পড়লে এ ধরনের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অপ্রয়োজনে এবং অতিমাত্রায় এর ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি যত্রতত্র এবং অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ব্যবহার কমাতে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান এই বিশেষজ্ঞ। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat