পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ প্রতিষ্ঠায় ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে অনেক সমৃদ্ধ। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
আজ রাজধানীর পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে “বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ঃ ইমপ্লিমেন্টেশন প্রসেস এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য খান মো. নুরুল আমিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য দেশ নির্মাণে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ।
তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যা বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য সেরা উপহার। এই মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালে আমাদের কি অর্জন করতে হবে, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয় এবং ২০৫০ সাল পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের পানি সম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমের ব্যাপ্তি বহুগুণে বেড়েছে এবং একই সঙ্গে কাজের গুণগতমানও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডেল্টা প্ল্যানের চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছয়টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে জাহিদ ফারুক বলেন, এগুলো হলো বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, নদী অঞ্চল, মোহনা এবং নগরাঞ্চল। পরিকল্পনায় হটস্পটভিত্তিক সমস্যাগুলো আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে।
উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গা-অঙ্গিভাবে জড়িত। বাংলাদেশ একটি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ইতোমধ্যেই বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে।