ব্রেকিং নিউজ :
জাতির পিতার সমাধিতে রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপন সিরিয়ায় আইএস-এর হামলায় সরকার সমর্থক ২০ সেনা সদস্য নিহত জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস-এর মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা ১ হাজার ৫২৫ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক পরলোকে জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিব নারায়ন দাশ ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল হামলা শুরু করেছে : মার্কিন গণমাধ্যম চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ভোটগ্রহণ শুরু
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৪-২৪
  • ৬০৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল ২৫ এপ্রিল বন্দর দিবস। ১৮৮৭ সালে পোর্ট কমিশনার্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করে ব্রিটিশ সরকার। ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল তা কার্যকর হয়। তখন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সেইথেকে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল বন্দর দিবস উদযাপন করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে শিগগিরই ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার ড্রাফটের আরও বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান।
আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি। কাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বন্দর দিবস উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (অর্থ) কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, কর্ণফুলী নদীর বহির্নোঙ্গর থেকে কাপ্তাই ড্যাম পর্যন্ত এলাকায় একটি স্টাডি করা হচ্ছে। লন্ডন ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান স্টাডিটি করছে। স্টাডি রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বলতে পারি সহসা আমরা বন্দরের জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। বর্তমানে জোয়ারের সময় গড়ে চার ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯.৫ মিটার ড্রাফটের এবং সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ বন্দরের বিদ্যমান জেটিগুলোতে ভিড়তে পারে।
তিনি বলেন, বছরে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) নির্মাণ কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে ৬০০ মিটার জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৯.৫ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এবং ২২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ডলফিন জেটিতে একটি তেলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পিসিটিতে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গত এক দশকে ৫ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে কনটেইনার ধারণ ক্ষমতা ৫৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং এলাকায় ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড এবং সদরঘাট এলাকায় একটি ৭৫ মিটার লাইটারেজ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে নির্মিত ৪০০ মিটার লাইটারেজ জেটি ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সচল করা হয়েছে, ফলে লাইটার জাহাজগুলো দ্রুততম সময়ে কার্গো খালাস করায় লাইটার জাহাজের ওয়েটিং টাইম কমেছে।
চট্টগ্রাম ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায়ও চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এ বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর সুত্র জানায়, ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সেলামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে কাঠের জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ সালে প্রথম দু’টি অস্থায়ী জেটি নির্মিত হয়। ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়। ১৮৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে দু’টি মুরিং জেটি নির্মিত হয়। ১৮৮৮ সালে ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। ১৮৯৯-১৯১০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার ও আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে রেলওয়ের সংযোগ হয়।
১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান আমলে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনারকে চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রাস্টে পরিণত করা হয়। বাংলাদেশ আমলে ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রাস্টকে চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটিতে পরিণত করা হয়। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি সংস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat