পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে, বাঙালি এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এখনও উজ্জীবিত করে পুরো জাতিকে। যুগ যুগ ধরে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে। এদেশের স্বাধীনতাকে আর কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না। নতুন প্রজন্মকেও আর কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে হাসুমণির পাঠশালা আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব’ এ তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা, যিনি দলকে সংগঠিত করার জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য দলকে সংগঠিত করেছেন তিনি। সেই দলের নেতৃত্ব দিয়েই তিনি একটা দেশের সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং তাঁর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছ। কিন্তু জাতির পিতার নাম দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায়নি, সত্যের জয় হয়েছে।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কিভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছেন। তা সত্যিই বিস্ময়কর। কোনো ষড়যন্ত্রই তাঁকে দাবিয়ে রাখতে পারে নাই।
হাসুমনির পাঠশালার সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মরুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে খুদে শিল্পীরা দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।