বন্দর নগরী চট্রগ্রামে এবার গ্রামে নয়, শহরেই পাওয়া গেল এক কভিড আক্রান্ত রোগি। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ১১ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ৩২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ এক মাত্র ব্যক্তি। ১৫ উপজেলার কোথাও একজনও আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মিলেনি। জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৬২৬ জন। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৯০ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহর ও গ্রামের কেউ মারা যায়নি। এতে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এদের মধ্যে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, এর আগে একটানা তিন দিন শহরে করোনায় সংক্রমিত কোনো ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি। তিন দিনের দুই দিন হাটহাজারীতে এবং এক দিন বোয়ালখালীতে এক জন করে নতুন করোনাবাহক শনাক্ত হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং এখানেই শহরের একজনের নমুনায় করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়।
এ ছাড়া, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৪, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৮, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩১, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৪, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৯ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। বারো ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে মোট ২৭৫ নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ২ দশমিক ১২ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চমেকহা, চবি, আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাব, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ।