মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সকল কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের জন্য এলাকা ভিত্তিক ভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ পরামর্শ দেয়া হয়।
কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল আজিজ, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, সৈয়দা রাশিদা বেগম এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় কমিটির গত বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা; নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ বা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ ও শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র স্থাপন (এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত প্রীতিলতা কর্মজীবি মহিলা হোস্টেল ও শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র) প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোন প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট মেয়াদে সমাপ্ত না হলে সে সকল প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ৩-৬ মাস পূর্বেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
সভায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে তাদের নিরাপত্তা ও সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধর্ষণ, নারী পাচার, যৌতুক গ্রহণ ও বাল্য বিয়ের সুফল এবং কুফলের বিষয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে জোর প্রচারনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়।
সভায় গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ ও শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র স্থাপন (এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত প্রীতিলতা কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল ও শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র) প্রকল্পে কর্মরত ১৮ (আঠার) জন কর্মচারীর বেতন ভাতাদি জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সভার শুরুতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া, এ বছর একুশে পদকে ভূষিতদেরকে অভিনন্দন জানানো হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।