ইউক্রেনে একের এক হামলা চালানোর কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তীব্র সমলোচিত হয়েছে রাশিয়া।
বিশেষ করে ইউক্রেনের হাসপাতালে ‘পদ্ধতিগত হামলার’ ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার হামলায় চার শিশুসহ ৩৮ জন নিহত এবং ১৯০ জন আহত হয়েছে। রাশিয়া সোমবার কয়েকটি শহরে প্রায় ৪০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে শিশু হাসপাতালে হামলার কারণে এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা জরুরি বৈঠকে সংস্থার মানবিক বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি জয়সে মসুয়া বলেছেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো যুদ্ধাপরাধ এবং অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।”
জাতিসংঘে কিয়েভের দূত সের্গেই কিসলিয়্যাস বলেছেন, মস্কো সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করেছে সমাজের দূর্বল ও প্রতিরক্ষাহীন গোষ্ঠীকে।
তিনি শিশু হাসপাতালে মস্কোর টার্গেট করা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রমাণ পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।
এদিকে ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড এ হামলাকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, এ হামলা প্রমাণ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শান্তি স্থাপনে আগ্রহী নয়।
জাতিসংঘে ব্রিটেনের দূত বারবারা উডওয়ার্ড রাশিয়ার হামলাকে কাপুরুষতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ফরাসী দূত নিকোলাস দে রিভিয়েরে বলেছেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আবাসিক ও চিকিৎসা স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে।
চীন উভয়দেশের প্রতি রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন এবং দ্রুত শান্তি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে।
তবে রাশিয়া আবারও হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটি দাবি করেছে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা অংশ নিজেদের ওই হাসপাতালে আঘাত হেনেছে।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেনে রাশিয়ার এ হামলাকে বিশেষভাবে জঘন্য বলে উল্লেখ করেছেন। তার মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।