সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশের দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষের জন্য তাদের টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশব্যাপী বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদে আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন প্রস্তাবটি সমর্থন করেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, যারা তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে টক শো’তে উত্তাপ ছড়ান তাদেরকেও কিন্তু এ দেশে নায্যতার ভিত্তিতে চলতে হবে। তাদেরকে বলবো যারা আগুন সন্ত্রাস করবেন, যারা জঙ্গীবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেবেন, দেশের নিরাপত্তার অধিকার যারা কেড়ে নেবেন। হাওয়া ভবন করবেন, তারা গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করবেন, ভোট না করেই ক্ষমতায় যাবার আবদার করবেন, এর কোনটিই কিন্তু নায্য নয়, সেজন্য বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা এই দ্বাদশ সংসদে নির্বাচনটা করলাম, কিন্তু বিএনপিসহ অনেকগুলো দল নির্বাচনে আসেনি। আবার আওয়ামী লীগসহ অনেকেগুলো দল নির্বাচনে অংশ নেয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছিল নির্বাচনে যাইয়ের না। আমরা ভেবে ছিলাম, পার্লামেন্টারী সিষ্টেমে শুধুমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আমরা নাকি আওয়ামী লীগের দালাল। আমার প্রশ্ন হলো- বিএনপির পক্ষ থেকে আমাকে আমার দলের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছে নির্বাচনে না আসার জন্য। তাহলে নির্বাচনে না গেলে ভাল আর নির্বাচনে গেলে খারাপ-দালাল। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসার কারণে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি, অন্য অগণতান্ত্রিক কিছু না ঘটে সে জন্য আমরা নির্বাচন করেছি।
রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর আরো আলোচনায় অংশ নেন, সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খান খসরু, মহিববুর রহমান, শহিদুজ্জামান সরকার, তারানা হালিম, সৈয়েদা জাকিয়া নূর, ফরিদা ইয়াসমিন, আশরাফুজ্জামান, আখতারুজ্জামান, ধ্রুপদী দেবী আগরওয়াল, খান মো. সাইফুল্লা আল মেহেদী।