প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গতকাল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ভারত। হাই স্কোরিং ম্যাচে গতবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারায় টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির রেকর্ড গড়া ম্যাচটিতে পেসার মোহাম্মদ সামি নিয়েছেন ৭ উইকেট। কোহলির সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৬ বলে ৯৩ রান যোগ করেন ডানহাতি ওপেনার শুভমান গিল। ম্যাচ শেষে গিল স্বীকার করেছেন রানের জন্য ক্ষুধার্ত কোহলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ব্যাটিংয়ে এগিয়ে গেছেন।
ওয়ানডেতে কোহলি গতকাল ক্যারিয়ারের ৫০তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ভারতীয় লিজেন্ড শচিন টেন্ডুলকারের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন। ১১৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন কোহলি। কোহলির ব্যাটিংয়ে ভর করে ভারত ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান সংগ্রহ করে। পরে শ্রেয়াস আইয়ারও ঝড়ো গতিতে সেঞ্চুরিসহ ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। ৮০ রানে অপরাজিত থাকা গিলও সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে আহত অবসর নিয়ে সাজঘরে ফিরলে গিলের আর সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি। ৪৭ রানে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ফিরে গেলে দলের হাল ধরে গিল ও কোহলি।
কোহলি প্রসঙ্গে গিল বলেন, ‘যখনই সে ক্রিজে আসে তখনই তার কাছ থেকে বিশেষ কিছু আমরা পেয়ে থাকি। ১০-১৫ বছর যাত কিভাবে একজন খেলোয়াড় এতটা ধারাবাহিক ভাবে খেলে যেতে পারে তার জ¦লন্ত উদাহরন কোহলি। আর আমাদের জন্য এটা সত্যিই অনুপ্রেরণার। তার মধ্যে যে প্রতিভা আছে সবসময় সেটা হয়তো সামনে আসে না। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তার মধ্যে ভিন্ন ধরনের এক ক্ষুধা আছে। যে ধরনের গুরুত্ব নিয়ে সে মাঠে খেলে সেটা আমাকে সবসময়ই বিস্মিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে একইভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তার পক্ষেই সম্ভব।’
রোহিতের সাথে ইনিংস ওপেন করা প্রসঙ্গে ২৪ বছর বয়সী গিল বলেন, ‘ইনিংসের শুরুতে রোহিত সবসময় ১০ ওভার খেলে, ঐ সময় আমি ১৫-২০টি বল খেলি। আমি বিশ্রাম নেই, রোহিত আমার হয়ে সব করে দেয়। সে বাউন্ডারি/ ওভার বাউন্ডারি মারে, আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। আমার ভূমিকা হচ্ছে পাওয়ারপ্লেতে খেলা, ভাল শট ভাল, বাউন্ডারির জন্য অপেক্ষায় থাকা। পাওয়ারপ্লে শেষ হয়ে গেলে আমি স্ট্রাইকে যাই।’
গিল আরো বলেন, ‘আমার যদি আজ পেশীতে টান না লাগতো তবে হয়তোবা সেঞ্চুরির দেখা পেতাম। প্রথমে পেশীর টান অনুভব করি, এরপর হ্যামস্ট্রিংয়ে হালকা ব্যাথা অনুভব করি।’
তবে আহমেদাবাদের ফাইনালের জন্য নিজেকে অবশ্যই ফিট করে তুলবেন জানান গিল।
এর আগে দুই বিশ^কাপের ফাইনালে পরাজিত হয়েছে নিউজিল্যান্ড। গতকাল ৩৯৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে কিউইরা চাপে পড়ে। যদিও ড্যানিল মিচেল দুর্দান্ত ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। মোহাম্মদ সামি ৫৭ রানে ৭ উইকেট দখল করেছেন। বিশ^কাপের সেমিফাইনালে এটাই কোন বোলারের সেরা পরিসংখ্যান। ওয়ানডেতে ভারতীয় কোন বোলারের সেরা বোলিং।
গিল জানিয়েছেন অনুশীলনে সামি, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজদের মোকাবেলা করা বেশ কঠিন।