রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া, গাজীপুর, সাভারসহ পোশাক শিল্প অধ্যুষিত সকল এলাকায় বর্তমানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
এমতাবস্থায় আশুলিয়ার সকল বন্ধ কারখানা আগামীকাল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। তবে একইসাথে কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পোশাক শিল্পের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানায়, পোশাক কারখানাগুলোতে এখন পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। আজ কোন কারখানায় শ্রম অসেন্তোষের ঘটনা ঘটেনি।
সংগঠনটি আরও জানায়, তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে আশুলিয়া এলাকার সকল বন্ধ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরতে আগ্রহী। শ্রমিকরাও মালিকদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে, কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হলে তারা কারখানায় সুষ্ঠুভাবে কাজ করবে। এর প্রেক্ষিতে আগামীকাল সকল কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার পোশাক শ্রমিকদের জন্য ১২ হাজার ৫০০ টাকার ন্যূনতম নতুন মজুরি ঘোষণা করে। শ্রমিকরা মজুরি আরও বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। শ্রমিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কারখানায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে আশুলিয়া, মিরপুরসহ আরও কিছু জায়গায় একাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিজিএমইএ এর আহবানে সাড়া দিয়ে শ্রমিকরা কাজে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করলে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার ৩টি পোশাক কারখানা ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার সকল কারখানায় স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে বলে বিজিএমইএ জানিয়েছে।
সংগঠনটি জানায়, ঢাকায় মিরপুরের কিছু পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতে আলোচনা চলছে। শ্রমিকরা যদি কাজ করতে চায়, তাহলে কারখানাগুলো খুলে দেয়া হবে।
বিজিএমইএ পোশাক কারখানাসহ সকল ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রদানে শিল্পাঞ্চলে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে। তবে জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের কারণে কোন শ্রমিক বা কর্মচারী এবং মালিক যেন কোন ধরনের হয়রানীর শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার অনুরোধ করেছে।